বুধবার (২৯ আগস্ট) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান। ‘ইন্ডিয়ান ওশেন’ সম্মেলন উপলক্ষে মুস্তফা কামাল এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।
দিল্লিভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে দু’টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিঙ্গাপুর ও শ্রীলংকায়। বাংলাদেশের পক্ষে এ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। ৬০’র অধিক দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশিষ্টজনেরা এ সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রী পর্যায়ের সেশনে পরিকল্পনামন্ত্রী বক্তব্য দেন। এই সেশনে শ্রীলংকার যুব মন্ত্রী সাগালা বাতানায়েকে, মরিশাসাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিতানাহ লুচিমিনারাইডো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল-জিউওদিও বক্তব্য রাখেন।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ১৯২৯ সালে আমেরিকা বিশ্ব বাণিজ্যকে ৬৬ শতাংশ সংকুচিত করে সারা বিশ্বে মহামন্দা সৃষ্টি করে। আশা করি বিশ্ব অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং এই সব তথাকথিত ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ প্রতিহত করবে।
পাশাপাশি এই অঞ্চলের সকল দেশকে বাণিজ্য যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সাউথ-সাউথ বাণিজ্য পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে করে বিশ্বায়নের অস্তিত্ব টিকে থাকবে। আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে চলার নীতি অনুসরণ করতে হবে। কেননা যদি আপনি দ্রুত চলেন তবে আপনাকে একাই চলতে হবে। আর যদি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে চলতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে একসঙ্গেই চলতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, যখন আমরা একতা ও পারস্পারিক সহযোগিতার কথা বলছি, ঠিক তখনই বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা সংকট তৈরি করেছে। এই সমস্যা বাংলাদেশের ঘাড়ে পড়েছে। এটা গুরুতর একটি সমস্যা। তাই রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সকল অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিদের আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।
রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে তাদের নিজ দেশে দ্রুত ফিরে যেতে পারে সেই বিষয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি সকল অংশগ্রহণকারী দেশের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলবাসী সকলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল নিয়মকানুন মেনেই ন্যায়সঙ্গতভাবে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এমআইএস/টিএ