বুধবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পাবনা সদর থানায় মামলাটি করেন নদীর মা মর্জিনা বেগম। এতে শিল্পপতি আবুল হোসেন, তার ছেলে ও নদীর সাবেক স্বামী রাজীব হোসেন, অফিস সহকারী শামসুজ্জামান এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।
** শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই হত্যা করেছে নদীকে, দাবি পরিবারের
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যেই তার সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানি) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের সবক’টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে। ’
‘তবে এরই মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া গেছে সংবাদ সংক্রান্ত কোনো ঝামেলায় সুবর্ণা নিহত হননি। এটি তার পারিবারিক সমস্যা। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ’
পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছি, তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে। ’
মামলার বাদী মর্জিনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার মেয়ে সুবর্ণাকে শিল্পপতি আবুল হোসেন ও তার ছেলে রাজীব হোসেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। ’
গত মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত সুবর্ণা আক্তার নদীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আগে সুবর্ণার অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে জান্নাত নামে ৬ বছরের মেয়ে রয়েছে। শহরের রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন সুবর্ণা।
সম্প্রতি রাজীবের সঙ্গে ডিভোর্স হয় তার। এ নিয়ে আদালতে একটি পারিবারিক মামলাও চলছে বলে জানা যায়।
সুবর্ণার বড় বোন চম্পা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানির তারিখ ছিল। আমরা সবাই কোর্টে ছিলাম। মামলা আমাদের পক্ষে ছিল। তারা জানতেন মামলায় হেরে যাবেন। তাই নানাভাবে ফোনে ও লোক দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
জিপি