বুধবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে (আমলী আদালত-৩ এ) তিনি মামলাটি দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন বলে জানায় কোর্ট সূত্র।
বাদি মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার মালিকানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুহুল আমিনের নামে উপজেলার চরদরবেশ মহালটি থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ফেনী জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেন রুহুল আমিন। পরে গত ২২ জুলাই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তিনি ৩শ’ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বালু উত্তোলনের চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর বাংলা ১৪২৫ সালের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত বালু উত্তোলনের জন্য তাকে অনুমোদন দেন। এরপর রুহুল আমিন ওই জায়গায় বালু উত্তোলনের জন্য একটি ড্রেজার মেশিন এনে রাখেন। যা সোমবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ইউএনও সোহেল পারভেজ ও সহকারী কমিশনার ভূমি শাহরীন ফেরদৌসী ঘটনাস্থলে গিয়ে ধ্বংস করে দেন।
এসময় উপস্থিত লোকজন তাদের রুহুল আমিন বৈধভাবে মহালটি থেকে বালু উত্তোলন করছেন অবগত করলেও তারা মানেননি। এতে রুহুল আমিনের প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।
বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসেন খসরু, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ফজলুল হক ছোটন ও অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন বাহারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এসএইচডি/টিএ