আটকই যদি করবো তাইলে মানথলির টাকা নিলো কেনো? কথাগুলো বলিছলেন ফিটনেসবিহীন এক লেগুনার (হিউম্যান হলার) চালক সুজন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া হাইওয়ে থানা এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মাসিক বেতনে অলিম্পিক বিস্কুটের এক ডিলারের লেগুনা চালাই। প্রতিদিনের মতো বিস্কুট ও অন্যান্য মালপত্র নিয়ে বাজারজাত করতে বের হয়েছি সকালে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই উপজেলার বাথুলী এলাকায় আমাদের গাড়িটিকে সিগন্যাল দেয় গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের টহল দল। এসময় টহল দলে থাকা হাইওয়ে পুলিশের সহকারী ট্রাফিক উপ পরিদর্শক (এটিএসআই) অহিদুল ইসলামকে পাঁচশ’ টাকা ও এক প্যাকেট লেক্সাস বিস্কুট দিয়ে রফা করি। কিন্তু সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের করিম টেক্সটাইলের সামনে থেকে আমাদের গাড়ি ফের আটক করেছেন গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
কথা শেষে একটি ভ্যানে করে থানার ভেতর থেকে লেগুনায় থাকা মালপত্র সরিয়ে আনেন সুজন।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই অহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকালে বাথুলী এলাকায় তাদের লেগুনাটি থামালে চালক জোর করে এক প্যাকেট বিস্কুট ও পাঁচশ’ টাকা দিয়ে চলে যান।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, সারাদেশের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও ফিটনেসবিহীন লেগুনা আটক করতে অভিযান চলছে। এ অভিযানে টাকা-পয়সা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই। অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে জনবল সংকট ও থানার ভেতরে জায়গা কম থাকায় পুরোদমে অভযান চালানো যাচ্ছে না।
প্রতিদিনই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায় বেশ কিছু লেগুনাকে। মালিক সমিতির নেতাদের দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দিয়েই এসব লেগুনা চলাচল করছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক।
হাইওয়ে পুলিশের সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলাউদ্দিন আলী বাংলানিউজকে জানান, অবৈধ যানবাহন আটক করার পর টাকা-পয়সা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে কেউ টাকা-পয়সা লেনদেন করে থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকার বিনিময়ে ফিটনেসবিহীন লেগুনা আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্ট, আগস্ট ২৯, ২০১৮
কেএসএইচ/এসআই