বুধবার (২৯ আগস্ট) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অপক্ষেমাণ ট্রাকের চালক মেহেদি হাসান এ কথা বলছিলেন। ফেরিঘাট এলাকায় দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে আর্থিক ক্ষতির কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, টার্মিনালে যানবাহনের দীর্ঘ সারি থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। আবার কখনো কখনো অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় দিনের পর দিন। ঘাটে কোনো দাম নেই আমাদের। ঘাট এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় আমাদেরই।
মেহেদি জানান, বেনাপোল থেকে মালামাল নিয়ে রওয়ানা করেছেন তিনি। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে একদিন। তবু অপেক্ষায় রয়েছেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এক জায়গাতেই স্থির হয়ে আছেন তিন ঘণ্টা ধরে। আর কতোক্ষণ এভাবে অপেক্ষা করতে হবে তাও জানা নেই তার।
ঢাকামুখী অপর আরেক ট্রাক চালক ইবাদত আলীও আক্ষেপ প্রকাশ করে মেহেদীর কথার সঙ্গে তাল মেলালেন। তিনিও যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে আটকে রয়েছেন বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে।
দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশের সাব কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দুই কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। একই অবস্থা সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের। তবে যাত্রীবাহী বাস ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দুই থেকে তিন ঘণ্টার অপেক্ষায় ফেরির দেখা পেলেও একই জায়গায় আটকা রয়েছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক।
অপরদিকে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির আলাদা লাইনও রয়েছে এক কিলোমিটার। আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার অপেক্ষায় ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে এসব ছোট গাড়ি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন জানান, ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। আবার নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলে সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশি। এতে করে ফেরিঘাট এলাকায় আগত যানবাহনগুলোকে নৌরুট পারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাস ও ছোটগাড়ি এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। যে কারণে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অতিরিক্ত সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
কেএসএইচ/এএইচ