এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. ফারজানা ইসলাম সম্পা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জালাল হোসেনকে প্রধান করে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর অ্যানেসথেসিয়া করা ডা. সিরাজুল ইসলাম ও সিজারিয়ান অপারেশনকারী ডা. শাহনাজ পারভীনের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব আলম স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জালাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করেন।
জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট তিতাস উপজেলার বাগাইরামপুর গ্রামের ডালিম মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নুরজাহানের প্রসব বেদনা উঠলে দাউদকান্দির রংধনু হসপিটালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। ওইদিন রাতেই ডা. সিরাজুল ইসলাম অ্যানেসথেসিয়া করেন এবং ডা. শাহনাজ পারভীন সিজার অপারেশন করেন। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে নুরজাহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীর স্বজনরা। ২৬ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরজাহান।
বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনা নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার এমন তথ্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের গোচরে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর আগে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অভিযোগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম জানান, একটি ১০ বেডের হাসপাতাল পরিচালনা করার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, লোকবল এবং পরিবেশ না থাকায় রংধনু হসপিটালকে সিলগালা করা হয়েছে। অচিরেই অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানান, আমার নির্দেশেই ওই হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। আর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলেই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
জেডএস