বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে (বিবিআইএন) চার দেশের মধ্যে মোটরযান চলাচল সহজীকরণে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক সভায় উন্নয়ন সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাটস ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় সমন্বয়ক সামন্ত চট্টোপাধ্যায় একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এ রুটের বেশি ভাগ রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে।
‘বিবিআইএনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য প্রক্রিয়াগত ডকুমেন্টগুলো একই রকম না হওয়া ও অপারেটিং সফটওয়্যার আলাদা হওয়ায় বাণিজ্য কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে অনেকের (বিশেষত ট্রাক ড্রাইভার, আমদানি-রফতানিকারকরা) অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষকে পণ্য পরিবহনের বিভিন্ন ধাপে অতিরিক্ত অর্থ (স্পিড মানি) দিতে হয়। যার কারণে ওইসব দ্রব্য আমদানি-রফতানিতে খরচ বেড়ে যায়। আর তার প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের উপর। ’
‘সীমান্তবর্তী এই রুটগুলো দিয়ে দু’দেশের মানুষ ও মালামাল আসা-যাওয়া হয়। তাই এসব স্থানে দু’দেশের সংস্কৃতির সংযোগ ঘটে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংস্কৃতির সংঘর্ষও হয়। তাই ভ্রমণকারী মানুষের উচিত অন্যদেশের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করা। এসব সমস্যা নিরসন হলে চার দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের খণ্ডকালীন সদস্য সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশি উন্নয়ন সমন্বয়ক শাহিনুর আলম, আমদানি-রফতানি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলনসহ বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
প্রতিবেশী চার দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণে ২০১৫ সালের ১৫ জুন বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর ও খসড়া প্রটোকল চূড়ান্ত করা হয়। এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি বাণিজ্য প্রক্রিয়া উন্নত হবে। এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এজেডএইচ/এএ