বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে সারাদিন মহানগরীর বেশ কয়েকটি তেল এমন চিত্র দেখা গেছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে চালকরা পাম্পের পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকান থেকে নতুন হেলমেট কিনে তা দেখিয়ে পেট্রল বা অকটেন সংগ্রহ করছেন।
এর আগে গত বুধবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার টিটুকে হেলমেট ছাড়া চালকদের জ্বালানি বিক্রি না করার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের শাপলা চত্বর ইউনিক পাম্প, শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন রহমান পাম্প, সাতমাথা রোডের আব্দুল্লাহ পাম্পসহ স্টেশন রোডের ছালেক পাম্প, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার পাম্পটিতে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের অনেকেই জ্বালানি নিতে এসে ফিরে যান।
রংপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও পেট্রল মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার টিটু সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি অতি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। বৈঠক ডেকে এর কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবো এবং মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য পোস্টারিংও করা হবে।
তিনি জানান, রংপুরে ৩৭টি পেট্রল পাম্প রয়েছে। পেট্রল নিতে মোটরসাইকেল চালকদের পাম্পে আসতে হয়। এই পাম্প থেকে প্রতিদিন শত শত লিটার পেট্রল বিক্রি হয়।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও আঞ্চলিক সড়কেও এখন অহরহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটছে। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের প্রায়ই বড়ধরনের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। কিন্তু হেলমেট থাকলে এ ক্ষতিও কম হয়।
‘তাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে পেট্রল পাম্প মালিকদের এ আহবান জানানো হয়। তারা এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এমএ/