শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটর, শাহবাগ, কারওনবাজার, মগবাজার, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখনও উল্টো পথে গাড়ি চলছে। সড়কে কোনো ট্রাফিক পুলিশ বা আনসার না থাকলে সুযোগ বুঝে উল্টো পথে ঢুকে পড়ছেন মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার চালকরা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল করে কম। ফলে ট্রাফিক পুলিশও ঢিলেঢালা ডিউটি পালন করে থাকেন। আর এ সুযোগটিই নিয়ে থাকেন কিছু অসাধু গাড়িচালক।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, যানবাহন চালকরা সুযোগ পেলেই উল্টো পথে ঢুকছেন। সোজা পথে গিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে আসতে হলে একটু ঘুরে আসতে হয়। সামান্য একটু ঘুরে আসতে রাজি নন চালকরা। সে কারণে সুযোগ পেলেই উল্টো পথে ঢুকে পড়ছেন তারা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটন রোডে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আনসার সদস্য ইকবাল হোসেনকে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো চালক উল্টো পথে গাড়ি চালান। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদও হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা প্রভাবশালী তারা আইন মানতে চান না। অনেকটা গায়ের জোরেই চলতে চান। তাদের নিয়েই বেশি ঝামেলা হয়।
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা একজন অটোরিকশা চালককে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিয়ম ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে রাজধানীতে তেমন গাড়ি থাকে না। তাই উল্টো পথে এসেছি।
তবে, ভবিষ্যতে আর উল্টো পথে অটোরিকশা চালাবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
ঈদের ছুটি শেষে এখনও অনেকেই বাড়ি থেকে রাজধানীতে ফেরেননি। এছাড়া শুক্র-শনি দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববার জন্মাষ্টমীর সরকারি ছুটি থাকায় রাজধানী অনেকটা ফাঁকা। সোমবার থেকে রাজধানী আবার পুরনো চেহারায় ফিরবে। তখন যানবাহন চলাচলও বাড়বে।
সম্প্রতি রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে তৎপর সরকারও। এতোকিছুর পরও থামছে না চালকদের বেপরোয়া আচরণ, প্রতিদিনই সারাদেশে ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা, ঝড়ছে অসংখ্য প্রাণ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
টিআর/এসআই