খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিরন্ন মানুষের জন্য ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও নভেম্বর এ ৫ মাস ৫০ লাখ হতদরিদ্র্য পরিবারকে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রণালয় সূত্র জানান, প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার। এতে পরিবার প্রতি ৫ জন হিসেবে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বছরে ৫ মাস এ সুবিধা পাচ্ছে।
চলতি বছরের ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১৫.৮৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১৩.৩৪ লাখ মেট্রিক টন ও গম ২.৫০ লাখ মেট্রিক টন। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ তিন মাসে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ১০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে চাল বিক্রির জন্য উপকার ভোগীর ৫০ লাখ কার্ড দেওয়া হয়েছে। কার্ডধারী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। দেশের ৬৪ জেলার ৫০ লাখ দরিদ্র্য মানুষ বছরে পাঁচ মাসের জন্য এ কর্মসূচির সুফল পেয়ে আসছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সবখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। কমিটিতে জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তারাই হতদরিদ্র্য পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে কার্ড দিয়েছে। কার্ডধারীরা নীতিমালা অনুযায়ী চাল পেয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এসএইচ