শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বাগমারার শ্রীবতিপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজশাহীর বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়ার একটি কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রীকে (১৭) গত বছরের ১৭ জুলাই তার সহপাঠীরা নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে হোস্টেলে নিয়ে যায়।
এরপর ওই ছাত্রীকে নাটোরের লালপুর উপজেলা সদরের তুষার আলী, নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগরের তুষার ইমরান এবং বাগমারার শ্রীবতীপুরের রকিবুল ধর্ষণ করে। আর ওইসময় এ ঘটনাটি ভিডিও করে ওই কলেজছাত্রীর আরেক সহপাঠী নাটোরের লালপুরের মেঘলা খাতুন।
এদিকে, ঘটনার পর ওই কলেজছাত্রীর মা বাগাতিপাড়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই কলেজছাত্রীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে এ মামলার প্রধান আসামি তুষার আলীকে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মেঘলা খাতুন এবং তুষার ইমরানকেও গ্রেফতার করা হয়।
এদের মধ্যে মেঘলা খাতুন জামিনে রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি নাটোরের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন।
রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার অপর তিন আসামি গ্রেফতার হলেও রকিবুল দীর্ঘদিন থেকে পলাতক ছিল। শুক্রবার দুপুরে তাকে শ্রীবতীপুর এলাকা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ বিশেষ কৌশলে গ্রেফতার করেছে। রকিবুলকে বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এসএস/আরবি/