শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ২৫ আগস্ট সকালে বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় তার ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। এসময় কেটে দেওয়া তার পায়ের গোড়ালি বরাবর।
তিনি বলেন, শাহ আলমের পা কাটা এবং হত্যা চেষ্টা মামলায় চার আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৭ আসামি। ৫৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শাহ আলম মাস্টারকে অন্তত ২৫টি মামলায় ইতোপূর্বে আসামি করা হয়েছে। দৃর্বৃত্তদের চাওয়া ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় একজন ভুয়া জমি দাতার মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি দলিল করে শাহ আলমের ক্রয়কৃত জমিতে গ্রামবাসীর কাছে ‘হঠাৎ মার্কেট’নামে পরিচিত একটি মার্কেট নির্মাণ করে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই আসামিদের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর বরিশাল শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহ আলম বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। হুমকিতে রয়েছে তার পরিবার।
তার অভিযোগ, দুর্বৃত্ত আইয়ুব ও নজরুল প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিচ্ছেন। শাহ আলম মাস্টারের পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ভাই-বোনের পরিবারের সদস্যরা শঙ্কিত রয়েছেন। দিন কাটছে চরম উৎকন্ঠায়।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হামলার শিকার পরিবারের শঙ্কার কিছুই নেই। ওই মামলার বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। বিভিন্ন উপায়ে তাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এমএস/আরবি/