শুক্রবার (৩১ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। তাকে আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানান, মেহেদী একসময় দক্ষিণখান এলাকায় থাকতো। এখানকার একটি স্কুলে পড়ালেখা করতো সে। বছরখানেক আগে সে তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে চলে যায়। সম্প্রতি আনারবাগ এলাকায় তার বন্ধু নাজমুল ইসলামের বাসায় বেড়াতে আসে। নাজমুল ও তার বন্ধুদের সঙ্গে স্থানীয় কিশোর-তরুণদের আরেকটি পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে।
সন্ধ্যায় সোয়া ৬টার দিকে দক্ষিণখানের কেসি হাসপাতাল এলাকায় দুই পক্ষের মারামারি হয়। ওই সময় নাজমুলের সঙ্গে ছিল মেহেদী, প্রতিপক্ষর ছেলেরা তাকে মারধর করে। এতে সে জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, নিহত মেহেদী হাসানের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। তবে পুলিশ হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আটক দু’জনকে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এজেডএস/এএ