রোববার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সুইটি উপজেলার রাজাবাড়ীহাট গ্রামের শাওন হোসেনের (২৪) স্ত্রী এবং একই উপজেলার জগপুর গ্রামের শাহীন উদ্দিনের মেয়ে।
সুইটির বাবা শাহীন উদ্দিনের অভিযোগ, ১০ মাস আগে রাজাবাড়ীহাট গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে শাওনের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর কয়েক দফায় তিনি দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছেন। আরও টাকার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে নির্যাতন করতেন।
নির্যাতন সইতে না পেরে দেড় মাস আগে সুইটি তার বাড়ি চলে যান। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুইটির স্বামী শাওন পীড়াপীড়ি করে তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে যান। পরদিন দুপুরে তিনি খবর পান, শ্বশুর বাড়ির ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মেয়ের মরদেহ ঝুলছে।
শাহীন উদ্দিনের দাবি, যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে সিলিং ফ্যানে মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় হত্যা মামলা করবেন বলেও জানান।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, সুইটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করার পর সুইটির স্বামী শাওনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এখন কেউ হত্যা মামলা করলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এসএস/জিপি