সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের নিরাপত্তা হেফাজত থেকে মেয়েটিকে তার ভাইয়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুজ্জামান।
এদিকে, সোমবার ভোরে কালিহাতী উপজেলার বেনুকুর্শা গ্রাম থেকে ওই সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে, স্বজনরা নিরাপত্তা হেফাজতে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে মেয়েটির ভাইয়ের পক্ষে আদালতে বোনকে ভাইয়ের জিম্মায় দেয়ার জন্য আবেদন করেন অ্যাডভোকেট শাহিন সিদ্দিকী।
জড়িতদের ফাঁসি দাবি করে মেয়েটির ভাই জানান, বোনের ধষর্কদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। এ সময় তার বড় বোনের স্বামীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েটিকে পরিবারের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুজ্জামান।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আগে গ্রেফতারকৃত বাসচালকের সহকারী নাজমুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাসের সুপারভাইজার এরশাদের নাম বেরিয়ে আসে। পরে সোমবার ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিন সিদ্দিকী বলেন, আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুজ্জামান মেয়েটিকে তার ভাইয়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর তাকে নিয়ে তার ভাই ও বড় ভগ্নিপতি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে দুই/একদিন রেখে তাকে কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার ভাই।
** বাসে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী নারীকে নিতে এসেছে পরিবার
** বাসে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এসআরএস/এসআই