সিলগালা করা কোম্পানির পানি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত মোটর বাজেয়াপ্ত, ওয়াসার পানির লাইন বিচ্ছিন্ন, প্রায় ৮শ পানির জার ধ্বংস ও আইনানুসারে নিয়মিত মামলাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট'র (বিএসটিআই) ভেজালবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
অভিযানটি পরিচালিত হয় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই'র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম, পরিচালক প্রকৌশলী এসএম ইশফাক আলীসহ বিএসটিআই'র কর্মকর্তা ও র্যাবের সদস্যরা।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম জানান, ওয়াসার পানি পরিশোধন ছাড়া জারে ভরে বাজারজাত করায় মিরপুর-১১’র লালমাটিয়ার তাবাসসুম ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানিকে সিলগালা করা হয়। একই এলাকায় নদী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিকে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও অব্যবহৃত অকার্যকর মেশিনপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরপর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় সেফ ইন্টারন্যাশনাল নামক খাবার পানির কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় সোনালি বেভারেজ অ্যান্ড মাল্টিফুড নামক কোম্পানিকে সিলগালা, ওয়াসার পানির লাইন বিচ্ছিন্নকরণ ও পাঁচটি মোটর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ওই চারটি কোম্পানি থেকে প্রায় ৮শ পানির জার ধ্বংস করা ও আইনানুসারে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে।
ভেজালবিরোধী অভিযানে উপস্থিত থেকে বিএসটিআই'র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম জানান, বিএসটিআই বাংলাদেশে ১৯৪টি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সার্টিফিকেট ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে। এসব পর্যবেক্ষণের জন্য জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে না হয়। সেজন্য আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। প্রশাসনের বিশেষ করে র্যাবের সহযোগিতা নিয়ে। ইতোমধ্যে ৭৪টি পানির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮
এমএএম/এএটি