এরইমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জ্বালানি তেল বিক্রেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে হেলমেট ব্যতিত মোটরসাইকেল আরোহীদের জ্বালানি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে তেল ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খায়রুল আলম।
তিনি বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। আমরা বিগত কয়েকমাস ধরে সড়কে লাইসেন্সবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নিচ্ছি, তেমনি নিরাপদ সড়কের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
খায়রুল আলম বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালনার জন্য চালকসহ সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কারণ হেলমেট মাথায় আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা করে, যা সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমিয়ে আনবে। হেলমেট না থাকায় বিভিন্ন সময়ে মামলাও দেওয়া হচ্ছে, তারপরও হেলমেট না পরে অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই এ কাজকে আরও বেগবান করতে জ্বালানি কেনার সময় হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক করার চিন্তা ভাবনা। যাদের হেলমেট থাকবে না তারা জ্বালানি তেল কিনতে করতে পারবেন না।
এদিকে, মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২/১ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সভাও হয়েছে। সেই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বরিশালের পাম্প মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হেলমেটবিহীন রাইডারদের কাছে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ রাখার উদ্যোগের কথা।
অপরদিকে সুশীল সমাজের নেতারা বলছেন, সড়কে মোটরসাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে সংগঠিত অপরাধ রোধে যানবাহনের পেছনে নম্বরপ্লেট বাধ্যতামূলক করাটাও প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএস/আরবি/