পাঁচ শতাধিক শিশুর কলকাকলি আর ৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষকের পদচারণায় সার্বক্ষণিক মুখরিত থাকে বিদ্যালয়টি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে হঠাৎ করে বিদ্যালয়টির চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি পুরনো ভবনের পলেস্তারা ভেঙে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
প্রতিনিয়ত ভবনটির পলেস্তরা একটু একটু করে খসে পড়ছে। আর এরই মধ্যে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এদিকে ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় শ্রেণীকক্ষ সংকটে পড়েছে বিদ্যালয়টি। যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এক শিফটের স্কুল হওয়ায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিদর্শনে এসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপায় না থাকায় পরিত্যক্ত ভবনেই অফিসয়াল কার্যক্রর্ম চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় এ বছর ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাই।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী রানী বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটিতে ঢুকতে গেলেই ভয়ে আঁতকে উঠি। যতক্ষণ ভবনটির মধ্যে থাকি ততক্ষণ ভগবানকে ডাকতে থাকি। না জানি কখন মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল আলম বলেন, পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত সংস্কার করা হবে। পাঠদান ব্যাহত হলে আপাতত পার্শ্ববর্তী কলেজের দু’টি কক্ষে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
আরএ