বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শাহ্ আলম-রোকেয়া বেগম দম্পতি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রাম থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওয়ানা হন।
হাসপাতালে তাদের নবজাতকের প্রথম ছয়দিনের চিকিৎসা বাবদ ৯৭ হাজার ৩৯৯ টাকা বিল দেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন এই দম্পতি।
হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে কুমিল্লার ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করি। শিশুর বাবা-মাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করার জন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে ছাড়পত্র দেবে বলে জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে ফুলছোঁয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মো. আবুল বাশারও রয়েছেন।
কুমিল্লার কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, নবজাতকের বাবা-মা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করলে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাদের থানায় নিয়ে আসা হবে। থানা থেকে তারা আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিশুকে নিয়ে চাঁদপুরে যাবেন।
১৮ আগস্ট হাজীগঞ্জ শহরের শাহ মিরান হসপিটালে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রোকেয়া বেগম। মাত্র ৭০০ গ্রাম ওজনের অপরিণত নবজাতককে বাঁচাতে দ্রুত কুমিল্লার মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে ছয় দিন শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হলে শিশুটির জন্য চিকিৎসা খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৯৭ হাজার ৩৯৯ টাকা। দরিদ্র বাবা এ অর্থ পরিশোধ করতে না পেরে নবজাতককে হাসপাতালের বেডে রেখেই ২৪ আগস্ট পালিয়ে চাঁদপুরে চলে আসেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নবজাতকের বাবা-মাকে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
এনটি