বৃহস্পতিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকল সাড়ে ১০টার দিকে এ পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমরকে সোয়া ১২ টায় ও নয়নকে সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ওমরের মা রুনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, তাদের বাসা কেরানীগঞ্জে, ওই এলাকার চুনকুটিয়া প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো ওমর। স্বামী জামাল হোসেনের সঙ্গে মনোমালিন্য করে ৫ মাস আগে ছেলে ওমরকে নিয়ে জুরাইন নবারন গলিতে বাবা-মায়ের বাসায় চলে যান তিনি।
তিনি জানান, সকাল ১১টার দিকে জুরাইনের ওই বাসার পাশে একটি দ্বিতীয় তলা বাসার ছাদে খেলতে যায় ওমর। সেখান থেকেই নিচে পড়ে যায় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওমর ছিলো তাদের একমাত্র সন্তান।
এদিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারে বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতো নয়ন। সূত্রাপুর লোহারপুল খালপাড় ১৭, কে পি রোডে মামার বাসায় বেড়াতে আসে নয়ন। গত ১ মাস ধরে সেখানেই ছিলো ডেমরার স্থানীয় একটি স্কুলের এই ছাত্র।
নিহত নয়নের মামা মো. জনি জানান, সকালে বাসা সংলগ্ন একটি টিনসেড বাসার চালে ওঠে ঘুড়ি আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নয়ন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুইটি মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এজেডএস/এমএ