বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, নতুন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহনগুলো মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কাজ করছে। রাস্তার পাশে মানুষ দেখলেই গাড়ি থামিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তুরাগ পরিবহনের চালক সুজন বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় একসঙ্গে অনেক গাড়ি থাকে, আবার যাত্রীর সংখ্যাও প্রচুর। এক দিকে পরিবহনকে চলতে হবে, আবার যাত্রীদেরও ওঠাতে হবে। তাই মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিয়ে সবাইকে চলতে হয়। কারণ অফিসে বা স্কুলে যাওয়ার তাড়া থাকে সবারই।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন গাড়িতে উঠতে হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী আদনান নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, এক গাড়ির চালক অন্য গাড়িকে আগে যেতে দেয় না, আবার সে নিজেও সঠিক জায়গাতে পার্কিং করে না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলতে হয়।
তবে ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস ব্যবহার করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান আদনান।
এ বিষয়ে বাড্ডা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মারুফ বাংলানিউজকে বলেন, গণপরিবহনে এখন আগের চেয়ে অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালায় না। কারো লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকলে মামলা হচ্ছে। বৈধ কাগজ না থাকলে গাড়ি আটক হয়। আগামী সপ্তাহ থেকে আরও শৃঙ্খলা আসবে।
তিনি আরও বলেন, ডিএমপি কমিশনার বাস স্টপেজর জন্য ইতোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ কাজ আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এতে গণপরিবহণে পুরোপুরি শৃঙ্খলা আসবে বলে আশা করা যায়। তখন কেউ যেখানে-সেখানে পার্কিং বা মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিন্টোরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সড়কের যেখানে-সেখানে বাস থামানো যাবে না। বাসস্টপেজের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্টপেজে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আরও বলা হয়, এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজে যাওয়ার সময় বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে বাসগুলোকে। একইসঙ্গে ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রাক্রসিং ও আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পার হওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
ইএআর/এনএইচটি