বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে ছবি এঁকে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী। পরে সুলতান মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উৎসবের সমাপণী দিনে চিত্রা নদীতে এসএম সুলতান নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও নৌকাবাইচে নারী ও পুরুষ আলাদা আলাদাভাবে প্রতিযেগিতায় অংশ নেবে। শেখ রাসেল সেতু থেকে নৌকাবাইচ শুরু হয়ে চার কিলোমিটার দূরে এসএম সুলতান সেতুতে গিয়ে বাইচ শেষ হবে। নৌকাবাইচ দেখতে নড়াইলসহ আশেপাশের অন্তত ১০টি জেলা থেকে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের অর্ধশতাধিক স্টল বসেছে। এছাড়া স্থানীয় চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের এসএম সুলতান মঞ্চে।
এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশন এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং আরএফএল, রেইনবো পেইন্টস ও রানার অটোর সহযোগিতায় সুলতান উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর নড়াইলে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। ১০ আগস্ট এসএম সুলতানের জন্মদিন হলেও শোকের মাস এবং বর্ষা মওসুম হওয়ায় প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে সুলতান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে ১৯৮২ সালে ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’ ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন। এছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এনটি