তিনি বলেছেন, সুজাকে ড্রিল দিয়ে পা ফুটো করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি অসুস্থতা নিয়ে বেঁচে ছিলেন।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে সুজা ও তাজুল ইসলাম চৌধুরীর ওপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দু’জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মোস্তফা রশিদী খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি একজন ক্রীড়া অনুরাগী এবং প্রাণবন্ত সুদক্ষ নেতা ছিলেন। দুর্ভাগ্য, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর যে অত্যাচার করে, সেই অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন সুজাও। তার পায়ে ড্রিল দিয়ে ফুটো করে দেয়া হয়েছিল। এমনকি তার ভাই ও শিশু সন্তানকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল অপারেশন ক্লিনহার্টের সময়। আরেক নেতা মাসুদকে তো মেরেই ফেলা হয়েছিল। এ রকম অসংখ্যা নেতাকর্মীকে নির্যাতন করা হয়। ওইসময় প্রায় ১৫০ জনের মতো নেতাকর্মী মারা যান। এই সংসদের অনেক সংসদ সদস্যই আছেন যারা বিএনপির দ্বারা নির্যাতিত। এই নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে খুলনা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিকে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পূরণ হওয়ার নয়।
তিনি বলেন, আরেকজন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার বিরাট ভূমিকা ছিল। আমরা দু’জন দক্ষ সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। এই সংসদের প্রায় ১৫ জন সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এসএম/আরবি