মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) আদালতের নির্দেশে মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা গ্রাম থেকে ওই প্রকৌশলীর মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নিহত চঞ্চল চাপিতলা গ্রামের মৃত কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে।
মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মেহবুব, ইউনিয়র পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাইয়ুম ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
অভিযোগে জানা যায়, চাপিতলা গ্রামের কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহেরের পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করতেন। আবু তাহের মারা যাওয়ার পর তার ছেলে চঞ্চল ওই গ্রামে পৈতৃক জমির খোঁজ-খবর নিতে আসেন। কিন্তু তিনি এসে দেখেন অধিকাংশ পৈতৃক জমি দখল হয়ে গেছে। পরে তিনি জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চঞ্চলকে মারধর করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু এসব ঘটনা চঞ্চল তার মা এবং ভাইকে জানায়নি। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে চঞ্চলের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ ৫ মাস পর এনিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে তার মা মনোয়ারা তাহের বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করেন।
চঞ্চলের মামা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, পৈতৃক জমি দখল করতেই চঞ্চলের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছেন না।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন (পিবিআই) জানায়, আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য চঞ্চলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত ও সার্বিক তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এএইচ/এএটি