এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকির্পূণ ও জরাজীর্ণ রয়েছে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের অবকাঠামো।
অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বেতাগী কুমড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসন্ডা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামের উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর জোয়ার করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য বকুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করুনা মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বড় মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব দেশন্তর কাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি জরাজীর্ণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়েছে পলেস্তার। সামান্য বৃষ্টিতেই ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। ২৫ নম্বর বাসন্ডা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাদের কংক্রিট খসে পড়ে ও ভিমের রডগুলো বেরিয়ে এসছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. সায়িদা পারভীণ বাংলানিউজকে জানান, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে শিশুদের।
বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এনটি