বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক হয়। পরে তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটকরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া থানার বাগবুনিয়া ক্যাম্পের এ-১ কেন্দ্রের আমির হামজার মেয়ে নুর কায়েস (২২) এবং রাশিদা একই জেলা ও থানার বালুখালি ক্যাম্পের আই-২০ কেন্দ্রের আবুল কালামের মেয়ে রাশিদা (২০)।
মায়ানমারে নূর কায়েসের বাড়ি মংরুর আইক্ক্যাপের কুয়ান্সি ব্যাঙ্ক এলাকায় এবং রাশিদার বাড়ি মংরুর হাজ্জারুতে।
জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসের দালাল আনোয়ারের (২৫) মাধ্যমে রোহিঙ্গা তরুণী নূর কায়েস ও রাশিদা দুপুরের পর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যান পাসপোর্ট করার জন্য। কিন্তু কথা বার্তার একপর্যায়ে তারা ধরা পড়ে যান।
নূর কায়েস ও রাশিদা জানান, গত এক মাসে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে এক লাখ টাকা করে দু’জনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। গত চারদিন আগে ক্যাম্প থেকে তাদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়িতে নিয়ে এসে ইকবাল তার বাড়িতে রাখে।
বৃহস্পতিবার সকালে আনোয়ার নামে এক লোকের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য তাদের পাসপোর্ট অফিসে পাঠায়। একপর্যায়ে রাশিদার কথা শুনে সন্দেহ করে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন। এ নিয়ে কিছু লোক (হয়তো পাসপোর্ট অফিসের দালাল) তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়ে বলেন ‘বল তোরা রোহিঙ্গা না, এখানেই থাকোস’ এ কথা বলে আরও মারধর করে। রাশিদা ও নূর কায়েস শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখায় উপস্থিত সাংবাদিকদের।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান বাংলানিউজেক বলেন, মেয়ে দু’টি দুপুরের পর পাসপোর্ট করতে আসে। এসময় রাশিদা কথা বার্তায় সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, পাসপোর্ট অফিসের লোকজন রোহিঙ্গা দুই তরুণীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
জিপি