শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল এ সাজা দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্কর (৭০) ও বিয়ে পড়ানো হুজুর একই গ্রামের হাফেজ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল বাংলানিউজকে জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বেতবাড়িয়া গ্রামের সাহেব আলী মেয়ে বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা খাতুনকে একই উপজেলার পীরতলা গ্রামের মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে গোপনে বিয়ে দেন। আজ মহা ধুমধামের সঙ্গে মেয়েকে বিদায় দেওয়া হচ্ছিল।
খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বাড়ি গেলে বর ও বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। পরে বিয়ে পড়ানো অপরাধে হুজুর হাফেজ মাওলানা নজরুল ইসলাম ও বিয়ের আয়োজন করার অপরাধে দাদা আবু বক্করকে তিনদিন করে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।
বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৫ ও ৬ ধারায় এ দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
আরএ