বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সুন্দরবন উপকূলের বঙ্গোপসাগরের দুবলা ও কচিখালীর অদূরে এসব ট্রলার নিখোঁজ হয়।
এরআগে, বৃহস্পতিবার রাতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কচিখালী স্টেশন ৮ জন জেলেসহ একটি ইঞ্জিন বিকল ট্রলার উদ্ধার করেছে।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে শরণখোলার শহিদুল ফরাজী, আনোয়ার ফরাজী, কামরুল, কবির হাওলাদার, আশ্রাফুল, আলম মিস্ত্রী, এনামুল, কবির ঘরামী, ইয়াছিন, ডাবলু হাওলাদার, শহিদুল হাওলাদার, ইউনুচ হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার, আমগীর ও মোদাচ্ছের হাওলাদারের নাম জানা গেছে।
নিখোঁজ ট্রলারগুলোর মধ্যে শরণখোলার রাজৈর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ফরাজীর মালিকানাধীন এফ.বি মারিয়া-১, রায়েন্দা বাজারের তৌহিদুল ইসলামের এফ.বি আজমীর শরিফ-১, উত্তর কদমতলা গ্রামের বিলাশ রায় কালুর এফ.বি সাগর-১, রাজৈর গ্রামের আ. মালেক মোল্লার এফ.বি শাওন, আমড়াগাছিয়া গ্রামের ইউনুছ ফকিরের আল্লার দান, বরগুনার ছগির পালোয়ানের এফ.বি আরমান, আহম্মদ মিস্ত্রীর এফ.বি তাজেনুর, দুলালের এফ.বি মায়ের দোয়া ও খলিলের এফ.বি মীম এর নাম জানা গেছে।
শরণখোলা উপজেলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন ও মৎস্য ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে কিছু মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ড ও বনবিভাগকে জানানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন অফিসার লে. জাহিদ আল হাসান বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রলার ডুবির খবর পাই। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড অভিযান শুরু করে। গভীর রাতে আটজন জেলেসহ পটুয়াখালীর এএসভি নুরুল আমিন নামে একটি ইঞ্জিন বিকল ট্রলার উদ্ধার করে কোস্টগার্ড কচিখালী স্টেশন। উদ্ধারকৃত জেলেরা সুস্থ আছেন। এখনও কোস্টগার্ড দুবলা ও কচিখালী স্টেশন বঙ্গোপসাগরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া কোন ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এনটি