সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার বৌদ্ধ বিহারগুলোতে নানান ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দান করার উদ্দেশে বিভিন্ন ফলমূল নিয়ে বৌদ্ধবিহারে উপস্থিত হচ্ছেন পূণ্যার্থীরা।
মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত বিহারগুলোতে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। জেলার প্রত্যেকটি বিহারে দায়ক-দায়িকা ও পূজারীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা জানান, পূর্ণিমা উপলক্ষে বিহারগুলোতে মধুদান, মধুপায়েস বিতরণ, পূজা ও পঞ্চশিল প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এছাড়া মন্দিরগুলোতে বৌদ্ধ ধর্মীয়গুরুদের জন্য মিষ্টান্ন ও উন্নতমানের খাবার উৎসর্গ করে পূজারীরা। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ নানা সাজে সেজে মন্দিরগুলোতে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়। মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে শহরের উজানী পাড়া বৌদ্ধবিহার, রাজগুরু বৌদ্ধবিহার, স্বর্ণ জাদী, রাম জাদীসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যায় বিহারগুলোতে প্রদীপ পূজাসহ নানান ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করা হয়।
বান্দরবানের স্বর্ণ জাদীর প্রতিষ্ঠাতা ধর্মীয় গুরু উ পঞঞা জোত থেরো বাংলানিউজকে জানান, ভাদ্র পূর্ণিমার সময়ে গৌতম বুদ্ধ যখন আরাধনা করছিলেন তখন বনের পশু-পাখিরা বৌদ্ধকে নানা ধরনের ফলমূল দিয়েছিল। এক সময় বনের এক বানারও গৌতম বুদ্ধকে মধুদান করে। এ ঘটনাকে স্বরণ করে পূজারীরা পুণ্য লাভের আশায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধু পূর্ণিমার সময়ে মধুদান করে পূজা দিয়ে থাকে। এ উপলক্ষে স্বর্ণ জাদী, রাম জাদী, খিয়ংওয়া কিয়ং, সিমা কিয়ং, পঞঞা পসসনারাম কিয়ং, জিনমারজয়ী জাদীতে বুদ্ধ পূজা দেওয়া হবে ও ছোয়াইং দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এসআরএস