হবিগঞ্জ শহরের কর্মকার পট্টি এলাকার মাদিহা মেহজাবীন চৌধুরীদের বাসায় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে এই ফুলটি ফোটে। নাইট কুইন ফোটার খবর পেয়ে শহরের বিভিন্ন বাসা থেকে পুষ্পপ্রেমীরা ছুটে আসছেন একবার দর্শনের জন্য।
মাদিহার নানু এবং হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া খানম বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ১২ বছর আগে তিনি এই নাইট কুইনের চারাটি রোপণ করেছিলেন। ১২ বছরে তিনি ৩ বার ফুলের দেখা পেয়েছেন। গত ৩ বছর ধরে একবার করে এই ফুলটি ফুটছে। এতে তার নাতনি মাদিহাসহ বাসার সবাই উল্লসিত।
বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে জানান, নাইট কুইনের বৈজ্ঞানিক নাম peniocereus greggii। প্রচলিত ধারণায় এটাকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। নাইট কুইনের সৌন্দর্যে সবাই এতটায় মুগ্ধ হয় যে, তার সৌন্দর্য নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করে না। এটি অনেকটা পদ্ম ফুলের মত দেখতে, রং সাদা । মৃদু সুগন্ধ আছে। এই ফুল রাতে ফোটা শুরু থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ফোটে। মধ্য রাত পার হলেই ফুল ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে শুরু করে। আর সেই রাতের অন্ধকারেই হয় তার জীবনাবসান।
তিনি আরো জানান, নাইট কুইনের জন্ম বীজ থেকে নয়, পাতা থেকে। ফুল গাছের এক টুকরো পাতা ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে রাখলে কয়েকদিনের মধ্যে ছেঁড়া পাতার চারদিকে চারা গজিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
আরএ