ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষায় বিনিয়োগ করুন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
শিক্ষায় বিনিয়োগ করুন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শান্তি সুরক্ষিত করতে শিক্ষায় বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদর দফতরে শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।  

‘মেকিং ইমপসিবল পসিবল: আনলকিং হিউম্যান পটেনশিয়াল থ্রো দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ফ্যাসিলিটি ফর এডুকেশন’ শীর্ষক হাই লেভেল ইভেন্টে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক কমিশনের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন।

আরো পড়ুন>>
** 
বিশ্ব নেতাদের দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলার আহ্বান শেখ হাসিনার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্থায়ী শান্তি নিশ্চিতে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হলো শিক্ষা। আসুন শিক্ষায় বিনিয়োগ করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শান্তি সুরক্ষিত করতে সহযোগিতা করি।

তিনি বলেন, যদি ভালোভাবে শিক্ষাকে বিতরণ করা যায়, এই শিক্ষাই একটি সমাজকে ব্যাধিমুক্ত করে দেয়। শিক্ষা মানুষকে কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ করে দেয় এবং দরিদ্রতা নিরসন করে। শিক্ষা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করে, সমাজ উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে।

তাই শিক্ষায় বিনিয়োগে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, গতানুগতিক সহযোগিতা শিক্ষা তহবিলে ঘাটতি পূরণে যথেষ্ট নয়। আমাদের অবশ্যই বেসরকারি খাতগুলোকে এর সঙ্গে জড়িত করতে হবে।

আরও পড়ুন>>> রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মিয়ানমারেও বিনিয়োগের আহ্বান

বেসরকারি খাততে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে, অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেসরকারি খাতকে শিক্ষায় বিনিয়োগ করা উচিত। লাভের জন্য নয় গুণগত শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার মানসে এগিয়ে আসতে হবে। কর্মীদের গুণগত শিক্ষা তাদের ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারিত করবে।

‘শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন দেশকে ঋণের চেয়ে অনুদান বেশি দিয়ে সহায়তা করা এবং তাদের বোঝাটা ভাগ করে নেওয়াটা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোরও দায়িত্ব,’ বলেন শেখ হাসিনা।  

‘এটা স্পষ্ট যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রচুর বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে, বিশেষ করে উদ্ভাবনী অর্থায়ন কৌশল তৈরি করতে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। ’

শিক্ষা তহবিলে অর্থায়নে জাতিসংঘ শিক্ষা কমিশনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন অংশীদারদের অনুদান প্রবাহ অবশ্যই অব্যহত রাখতে হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০ এ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক ভাবে পৃথিবীর প্রায় ২৬৩ মিলিয়ন শিশু এখনো স্কুলের বাইরে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০০ মিলিয়ন শিশু মৌলিক দক্ষতার অভাবে থাকবে এই রিপোর্টে আমরা উদ্বিগ্ন। ’

এ সময় শিক্ষার জন্য তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও সফলতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বাংলাদেশ শিক্ষা সেক্টরে ৮৬৭ দশমিক ২ বিনিয়ন টাকা বরাদ্দ রেখেছে। চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশ তার বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার উন্নয়নে বরাদ্দ রেখেছে।

বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে ৯৮ শতাংশ শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত এবং ঝরে পড়ার হার কমিয়ে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।