মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আসামির অনাস্থা বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক বলেছেন, মামলার উভয়পক্ষের বক্তব্য আদেশে আসতে হবে।
একই সঙ্গে জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন আবেদন করা হলে আদালত আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার অন্তঃবর্তীকালীন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালতে মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর একান্ত সচিব ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি সুস্থ না পর্যন্ত আমাদের পক্ষে শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরো পড়ুন:
**খালেদার চিকিৎসার রিট শুনানি ১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি
পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন স্থগিতের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
কিন্তু আদালত তা নাকচ করলে প্রথমে ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও পরে মনিরুলের পক্ষে তার আইনজীবী আক্তার হোসেন আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
ওই সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর কাজল বলেন, আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ওই আদালতের প্রতিই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো আবেদন করা যায় না।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আসামি চারজন। তারা হলেন- কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ের রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে।
সেদিন দুদকের আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
পরে খালেদা জিয়াকে ছাড়াই অন্য আসামিদের পক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত। ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে মামলার শুনানির দফায় দফায় তারিখ পড়লেও ‘অসুস্থ থাকা’য় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেন-দেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমআই/এমএ