সুখেই চলছিল রেহানা-স্বপনের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু এ সুখ তার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
তবু দুঃখ-কষ্ট ভুলেই সংসার করছিলেন রেহানা। এরই মাঝে তাদের ঘর আলো করে আইমুন (৪) ও আরিশা (২) নামের পুত্র এবং কন্যা সন্তান।
ভুক্তভোগী রেহানার বাবা ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সপ্তাহ দুই আগে রেহানার স্বামী স্বপন বিদেশ যাবে বলে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসে। কিন্তু আমি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় ওই টাকা দিতে পারিনি।
‘এতে স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আমার মেয়ে রেহানার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে রেহানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করে। ’
ইসলাম মিয়া বলেন, ‘ডাক্তারা বলেছেন রেহানার মাথার খুলি কেটে গেছে। অপারেশন করে ৭-৮ দিন চিকিৎসার পর তারা ছুটি দিয়ে দেন। বলেছেন, তিন মাস পর আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। কিন্তু মাথায় আঘাত পাওয়ার পর থেকে মেয়ে আমার পাগল অবস্থা। ক্ষণে ক্ষণে আবোল-তাবোল বলে। আমি গরিব মানুষ। মেয়ের সেবা আর ওষুধ কেনার চিন্তায় এখন আমি দিশেহারা। ’
এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর ইসলাম মিয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত স্বপন মিয়াসহ ৪ জনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের দিনই একজন আটক করে কারাগারে পাঠানো হলে দুইদিন পর সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। তবে অন্য আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘রেহানার পরিবার অত্যন্ত গরিব। আর স্বপনের পরিবার বিত্তবান। পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হলেও মামলার প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা যায়, স্বপন পরকীয়া আসক্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে রেহানা অসুস্থ থাকায় তার সাক্ষ্য নেওয়া যাচ্ছে না। সুস্থ হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এইচএ/