বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আকরাম হোসেন দুলাল জানান, ২০০৩ সালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা হররা গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার মেয়ে শাহানার সঙ্গে পাশের গ্রামের মৃত সোনা শেখের ছেলে আতিয়ার রহমানের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আতিয়ার ও তার পরিবার শাহানারার ওপর নির্যাতন চালাতো। যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় কয়েক দফায় শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সর্বশেষ ২০০৬ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে তার স্বামী বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য শাহানারার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করলে তার স্বামী আতিয়ার ও পরিবারের লোকজন শাহানারাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে।
ঘটনার পরের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় গৃহবধূর ভাই মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মানিক বাদী হয়ে আতিয়ার রহমান ও তার তিনভাই বজলু, ফজলু ও মেজবারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক প্রধান আসামি আতিয়ারের অনু উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাকি আসামিদের খালাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা
আরএ