এ অবস্থায় নীতিমালা লঙ্ঘনকারী হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মো. মকবুল হোসেন ও মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এ বছরের হজ পালন সমাপ্ত হয়েছে। যেখানে কোনো ধরনের ত্রুটি ছিলো না। কিছু জটিলতা হলেও তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা গেছে। আগামীতে আরো বেশি সুষ্ঠুভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন করা যাবে।
বজলুল হক হারুন বলেন, হজ নিয়ে প্রতারণা ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় সব সময়ই কঠোর অবস্থানে ছিলো। এখনো আছে। বিশেষ করে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে হাজি পাঠানোর বিষয়টি সংসদীয় কমিটির দৃষ্টিতে এসেছে। ওই ঘটনায় জড়িত এজেন্সিগুলোকে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় শোকজ করেছে। শোকজের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ হজে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ওমরাহ ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূতাবাস প্রধান ভূমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কিছু করণীয় নেই। বিষয়টি নিয়ে দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে ২০১৮ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি সকল হাজির সার্বিক ব্যবস্থাপনা অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় উত্তমভাবে সম্পাদিত হওয়ায় বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের সকল মহল থেকে ধন্যবাদ ও প্রশংসা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আলোচনা শেষে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আগামীতে হজের পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি।
এ বছর হজ করতে গিয়ে মোট ১৩৯ জন হাজি মৃত্যুবরণ করেন, তাদের সবাইকে সৌদি আরবে দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ