বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাবুকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে আটক করার পর তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে টেবিলের ড্রয়ারে ওই ইয়াবা ও নগদ অর্থ পাওয়া যায়।
প্রতিবেশীরা জানান, বাবু ভাড়া থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কার্যালয়ের এক অফিস সহকারীর বাসায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা নানা অপকর্মের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এ ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করছে। আমরা বেশ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নেননি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকেন্দার আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভাড়াটিয়াদের সরানো একটা কঠিন কাজ। অনেকের সুপারিশ থাকে। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে খারাপ লোকের পাশাপাশি ভালো লোকও থাকে। ভাড়াটিয়াদের ছেলে-মেয়েরা আশ-পাশের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থীদের ডিসেম্বরে পরীক্ষা শেষ হবে। তাই আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের সময় বেঁধে দিয়েছি। ডিসেম্বরের পর ক্যাম্পাসে আর কোনো ভাড়াটিয়া থাকবে না। ’
শেকৃবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বাসা ভাড়া দেওয়া নিষিদ্ধ। তবে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেক কর্মচারী প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের বাসা ভাড়া দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএ/