উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নির্যাতনের শিকার সেই নারী বুধবার (২৬ সেপ্টেম্ভর) সন্ধ্যায় বাদী হয়ে বিশ্বম্ভপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা (নং ২০) দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন চাকরি ও সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন ওই নারীকে।
থানা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ওই নারী বিশ্বম্ভপুর থানার পুলিশ হেফজতে রয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই চেয়ারম্যান প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। নারীদের প্রায় সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানি করেন তিনি।
বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনের বিরুদ্ধে এর আগেও মেয়েদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল। কিন্তু তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সবসময় ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখতেন। কিন্তু এবার তার সব কুকীর্তি মানুষ দেখেছে। আমরা এর বিচার চাই, গরিব পরিবারটি যেন বিচার পায়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। আসামি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এইচএ/