বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজেরগাতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের বিশ্বম্ভরদী গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), বাগেরহাটের হাসেম আলীর ছেলে বাসের হেলপার সাইফুল ইসলাম (১৮) ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সবেদ আলী (৫৫)।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, সকালে মুকসুদপুরের বরইতলা থেকে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়াগামী মা-বাবার দোয়া নামের (ঢাকা মেট্রো চ-৮২২৬) যাত্রীবাহী একটি লোকাল বাস মুকসুদপুর উপজেলা চাওচা এলাকার শিশুতলা মোড়ে একটি অটোভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এসময় মনোয়ারা বেগমসহ ৩১ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মনোয়ারাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে শাহিনা বেগম (৪৫), শেফালী বেগম (৫০), আকমাল শেখ (৬৫), রফিক (৩০), আরিফ (৩৫), আলিম মাতুব্বরকে (৪০) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, কোটালীপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ আসার পথে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের ভোজেরগাতি নামক স্থানে যাত্রীবাহী একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
এতে ওই বাসের অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হন। পরে খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এর মধ্যে গুরুতর আহত ২৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসের হেলপার সাইফুলসহ দুইজনকে খুলনা নেওয়ার পথে সাইফুলের মৃত্যু হয় এবং গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবেদ আলী নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ