স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে চোখে পড়ার মত এই মিলনায়তনের নাম ফলকটাই রয়েছে তাও আবার একটা বর্ণ নেই। মাগুরা শহরে নোমানী ময়দান মাঠের পাশে অবস্থিত এ মিলনায়তন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুণ ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, আমার জানা মতে এই মিলনায়তনে ১৪টি এসি রয়েছে। যা সৃষ্টির শুরু থেকে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো কখনো ব্যবহার করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, এই মিলনায়তনে প্রতিদিন কোনো না কোনো অনুষ্ঠান থাকে। এখানে প্রায় ৫শ’ লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে তাদের অনেক কষ্ট হয়।
‘কষ্ট বিথি’ আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য অ্যাডেভোকেট মকলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অডিটোরিয়ামে তেমন কোনো ভাল মঞ্চ নেই। যা আছে তাও প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। কোনোমত জোড়া-তালি দিয়ে চলছে।
তিনি আরো বলেন, বসার জন্য কোথাও ভাল ব্যবস্থা নেই। যা আছে তাতেও প্রচুর পরিমাণে ছারপোকা রয়েছে। সেখানে কেউ বসতে চায় না। মিলনায়তনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বলেন, নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত আছাদুজ্জামান মিলনায়তন। এখানে আছাদুজ্জামানের স্মৃতিস্তম্ভ, নামলফক, কংক্রিটের মূর্তি, লোহা ও প্লাস্টিকের বেঞ্চ রয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিলনায়তনের নাম ফলকের বানান ঠিক নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাম ফলকের বানানের একটা বর্ণ পড়ে গেছে বলে শুনেছি। অচিরেই তা ঠিক করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
আরএ