শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শ্বশুর মকসুদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. জিয়াউর রহমান বাহুবল উপজেলার সোয়াইয়া হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত কাউছার শহরতলীর উমেদনগর এলাকার আকল মিয়ার ছেলে।
ওসি জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গীরঘাট এলাকার মকসুদ আলীর মেয়ে সুখবানুকে কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন কাউছার। তাদের ঘরে দু’টি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান সুখবানু। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শ্বশুরবাড়ি টঙ্গীরঘাট থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়ে কাউছার আর ফিরেননি।
এদিকে সন্তানকে খুঁজে না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন কাউছারকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। এরপর শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাউছারের স্ত্রী সুখবান ও তার বাবা মকসুদকে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, মঙ্গলবার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন কাউছার। পরবর্তীতে তারা ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে মরদেহটি নিয়ে বাহুবলের সোয়াইয়া হাওরে ফেলে আসেন। এর প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় ওই হাওরে গলাকাটা অবস্থায় কাউছারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এনটি/