বুধবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ২৪-এ সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের উদ্যোগে আয়োজিত High Level Event on the Global Compact on Refugee: A Model for Greater Solidarity and Cooperation-এ অংশগ্রহণ করি।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের জন্য তিনটি সুপারিশের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১. মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত বৈষম্যমূলক আইন, নীতিমালা ও প্রথাগুলি বাতিল করতে হবে। এ সঙ্কটের মূল কারণগুলি খুঁজে বের করে তার প্রকৃত এবং সময়োপযোগী প্রতিকার করতে হবে।
২. মিয়ানমারকে অবশ্যই একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে আস্থা সৃষ্টি ও সব রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য সুরক্ষা, অধিকার এবং নাগরিকত্ব লাভের উপায় নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন হলে সব নাগরিকের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে হবে।
৩. মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা প্রতিরোধে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালা বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
এ ইভেন্টটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের বিভিন্ন সেশন, ওআইসি’র সভা, রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থার প্রধানদের বৈঠকে এ সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুরো বক্তব্য পড়তে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এমইউএম/এসকে/এসএইচ