বুধবার (০৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কচুয়া জিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জোহরা বেগমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী রুমি বেগম ও মেয়ে জুঁই ।
প্রতিবেশী সোহেল রানা জানান, রাত পৌনে নয়টার দিকে চিৎকার শুনে জোহরার বাড়িতে যান তিনি। এ সময় বাড়ির বাইরে জোহরার ছেলে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রুমি এবং নাতনি জুঁইকে পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের ভেতর জোহরাকে অচেতনভাবে পড়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হন।
তবে কারা কি কারণে জোহরাকে হত্যা করে তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী এবং নাতনিকে কুপিয়ে জখম করেছে তা বলতে পারেননি রানা।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, হত্যার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জোহরাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জোহরাকে হত্যার সময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে ছেলে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রুমি এবং নাতনিকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি জানান, প্রায় ২০ বছর আগে জোহরার স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরে তিনি ছেলের পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। ছেলে জাহাঙ্গীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি ব্যাংকে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী রুমি এবং একমাত্র মেয়ে জুঁই জোহরার সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ছেলের বউয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান ওসি রেজাউল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এসএস/আরআইএস/