বুধবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে জেলা সদরের শালবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিরিন শহীদ কাদের এলাকার ঠিকাদার তাজুল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে শিরিনের সঙ্গে স্বামী নেজামের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সর্বশেষ বুধবার রাতে স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিরিনকে দোলনার সুতো গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন নেজাম। তাদের দাম্পত্য জীবনে দেড় বছরের একটি মেয়ে আছে।
নিহত শিরিনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার রাতে নেজাম আমাদের বাড়িতে এসে জানায় শিরিনের পাতলা পায়খানা হচ্ছে। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। পরে তালা খুলে ঘরের বিছানায় শিরিন পড়ে আছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন।
শিরিনের বাবা তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারের অমতে শিরিন প্রেম করে নেজামকে বিয়ে করে। পরে বিষয়টি আমরা মেনে নেই। তবে নেজাম কিছু না করায় মেয়ের সুখের কথা ভেবে জমি, ঘরসহ সংসারের সব কিছু আমি করে দিয়েছি। কিন্তু এত কিছু করার পরও সে আমার মেয়েকে খুন করলো। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো বাংলানিউজকে জানান, মরদেহের সুরতহাল দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ঘাতক নেজাম উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘন্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এডি/এএটি