বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের একথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের দু’টি একাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করেছি।
সাবেক প্রধান বিচারপতির জড়িত কিনা এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকুক আর যেই থাকুক যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।
তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম বলতে রাজি হয়নি দুদক প্রধান।
তিনি বলেন, দু’টি একাউন্ট থেকে ঋণ প্রক্রিয়া এবং এই টাকা মানিলন্ডারিং বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, নগদ উত্তোলন এসব বিষয়ে অনেক কিছু এসেছে।
দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হয়, তাই হবে। যদি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী মামলা হবে।
ফারমার্স ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা এবং মোহাম্মদ শাহজাহান ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একইদিনে ২ কোটি করে ৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। ওইদিনই তারা টাকাগুলো পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা) অ্যাকাউন্টে জমা দেন। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে একইদিন টাকাগুলো তুলে আত্মসাৎ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
আরএম/আরআর