বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন।
পরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে স্থানীয়ভাবে মেলার উদ্বোধন করেন।
এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সালমা আকতার জাহান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আব্দুস সালাম, বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশিদ হোসেন, মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আকতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপিকা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহা. হবিবুর রহমান, রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ।
সভায় মেয়র বলেন, ‘প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার প্রমাণ আজকে আমরা আবারও পেলাম এ সরকারের সুবিধাভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখ থেকে। বাংলাদেশ থেমে নেই। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ উঠে গেছে, এখন দ্রুত বেগে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি আমাদের অহংকার, এটি আমাদের গর্ব। ’
মেয়র লিটন বলেন, বাংলাদেশের প্রতি টার্গেট করে পুরো ভারতবর্ষ তাকিয়ে আছে। তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়ন করছেন। তার ধারাবাহিকতায় রাজশহীতেও উন্নয়ন হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। মহানগরীর তলদেশে ভরাট হয়ে যাওয়া মাটি শহরের পাশে ফেলে ভরাট করা হবে। আমরা প্রায় ১০ থেকে ১৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা নতুন করে উদ্ধার করতে পারবো। সেখানে আমরা অনেক স্থাপনা করতে পারবো। বিনোদন কেন্দ্র হবে, ইকো পার্ক হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় মহানগরীর কুমারপাড়া মোড় থেকে উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি মহানগরীর সাহেববাজারসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজশাহী কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার টমটম শোভাযাত্রার সৌন্দর্য্য বর্ধণ করে। শোভাযাত্রায় সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে, প্রথম দিনেই মেলায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এবারের মেলা সরকারি-বেসরকারি ১৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম শোভা পাচ্ছে। এছাড়া মেলায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরকারের সফলতা বিষয়ক রিয়েলিটি শো প্রদর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও সরকারের সফলতাকে উপজীব্য করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। রাজশাহী কলেজ মাঠে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত এ উন্নয়ন মেলা চলবে। মেলায় সরকারের বিভিন্ন দফতরের স্টলগুলোতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/