বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থানস্থলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিলিয়ে ছয় দফা দাবি তুলে ধেরা হয়। আর রিট করার ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি দাবিদার মেহেদী হাসান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা দাবিগুলো হচ্ছে- বিসিএসসহ সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, কোটা সংস্কার চাই, জাকির'স স্পেশাল বিসিএস, বিসিএস আওয়ার গোলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারী ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির ঘরোয়া প্রতিবেদন বাতিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সরকারি চাকরি থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও নাগরিকত্ব বাতিল এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসায় হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দিতে হবে।
রিটের বিষয়ে মেহেদী হাসান বলেন, আমরা এতো দিনে অপেক্ষা করছিলাম যে কখন মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হবে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। আমরা এখন একসঙ্গে আন্দোলন ও আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো। এরইমধ্যে আমরা আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। রিট পিটেশন দাখিলের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।
তিনি আন্দোলনে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনার সবাই নিজেদের বাবা বা অন্য যে মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তার সনদ নিয়ে আসবেন। সনদ দেখিয়ে দেখিয়ে রিট পিটিশনের ফরমে স্বাক্ষর করে যাবেন। আমরা সবাই রিট পিটিশনার হবো। কেউ বাদ যাবে না। আর হতাশ হওয়ার কিছু নেই। রাজপথে চলবে আন্দোলন, আদালতে চলবে আইনি লড়াই।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলে বুধবার (৩ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিকেলে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। রাত ১টার দিকে তারা ঘোষণা দেন, কোটা বহালের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সন্ধ্যা পর্যন্তও চলছিল এ অবরোধ। যদিও এরমধ্যে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/
** শাহবাগ ঘিরে যানজটে রাজধানীতে অচলাবস্থা