বুধবার (০৩ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৪৩ কেজি স্বর্ণসহ চোরাচালান চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)। চক্রের সদস্যরা পুরান ঢাকা থেকে চালানটি বেনাপোলে নিয়ে যাচ্ছিল।
আটকরা হলেন- চক্রের মাস্টার মাইন্ড শেখ জাহিদুল ইসলাম (৩৩), শেখ আমিনুর রহমান (৩৭), মো. মনিরুজ্জামান রনি (৩৫), ইয়াইয়া আমিন (৪২) ও মো. জহিরুল ইসলাম তারেক (২৮)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার উজ জামান।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি গাড়িকে তল্লাশি করার সময় দৌড়ে পালানোর সময় চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে করে অভিনব পন্থায় কোমড়ে কালো বেল্টের ভেতরে লুকানো অবস্থায় ২৪৩টি ও ১৫টি বড় সাইজের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ১৮ কোটি টাকা।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, চোরাচালানকৃত এসব স্বর্ণগুলো প্রথমে রাজধানীর পুরান ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। পরে চক্রের সদস্যরা এসব স্বর্ণ নিজেদের মধ্য ভাগ করে সীমান্তবর্তী বেনাপোলে নিয়ে এসে অন্য পার্টির কাছে হস্তান্তর করে। তারা সেগুলো ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যায়।
পুরান ঢাকায় তাদের পাঁচজনের কাছে অন্য পাঁচজন এসব স্বর্ণের চালানগুলো দিয়েছিল। পোশাকের কোর্ড, রং টাইপের ভিত্তিতে তারা এসব চালান সংগ্রহ করতো বলেও জানান তিনি।
আনোয়ার উজ জামান বলেন, তাদের এ চক্রটিকে ভারতে অবস্থানরত একজন পরিচালনা করে। মূলত তার ফোনের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা এ চালান সংগ্রহ করে। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা তার নাম পেয়েছি, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না।
পাচারকারী এ চক্রের মাস্টার মাইন্ড শেখ জাহিদুল ইসলাম। আর বাকি সবাই কেরিয়ার হিসেবে কাজ করে। বাকিরা একটি চালানের জন্য ১০-১২ হাজার টাকা পেতেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-২ এর সিও বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের মূলহোতাদের গ্রেফতারে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। অনেক সময় তাদের সঙ্গে রিকভারি থাকে না বিধায় গ্রেফতার সম্ভব হয় না। এজন্য তাদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
পিএম/আরবি/