বুধবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ২২ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাসার নিচ তলার একটি রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
খোকন মন্ডল লালমনিরহাট সদর উপজেলার দেলোয়ার হোসেন মন্ডলের ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে খোকন মেঝ। ছোটভাই সুজন মন্ডলকে নিয়ে উত্তরার ওই ৬তলা বাসার নিচ তলায় থাকতেন খোকন। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে ওই বাসার নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
খোকনের ছোটভাই সুজন মন্ডল বাংলানিউজকে জানান, তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বুধবার সকালে তিনি কারখানায় যান। তখন খোকন বাসায়ই ছিলেন। বিকেল ৫ টার দিকে বাসার মালিকের স্ত্রী খোকনকে দেখতে (রুম তালাবন্ধ দেখে) না পেয়ে ছোটভাই সুজনকে ফোন করেন।
পরে সুজন বাসায় এসে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে খোকনকে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে রুমের তালা ভেঙে মেঝেতে খোকনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো বলে জানান সুজন।
বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (ওসি) আলী হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, নিহত ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ঘটনায় কাজ করছে পুলিশ।
ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. কবির সোহেল জানান, নিহতের শরীর থেকে একটি গুলি রেব করা হয়েছে। গুলি’র কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/