এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় উৎসব উদযাপনে জেলাব্যাপী নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা শহরের শ্যামসুন্দর মন্দির, মাগুরা কর্মকারপাড়া মন্দির, বিনেরপোতা মন্দির, গোপীনাথপুর মন্দির, কালিমাতা মন্দিরসহ সর্বত্র কারিগররা প্রতিমা তৈরির পর এখন রং করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথাও কোথাও কাজ শেষ চলছে সাজসজ্জা। এসবের মধ্যদিয়ে পূজা মণ্ডপগুলোতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এবছর সাতক্ষীরা সদরে ১০৫টি, কলারোয়ায় ৪২টি, তালায় ১০৪টি, পাটকেলঘাটায় ৭৮টি, আশাশুনিতে ১০৭টি, কালীগঞ্জে ৫২টি, শ্যামনগরে ৬৬টি ও দেবহাটায় ২০টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এসব পূজামণ্ডপের মধ্যে ১৫৩টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সাতক্ষীরা শহরের মায়ের বাড়ি মন্দির কমিটির সদস্য সুজন কুমার বাংলানিউজকে জানান, জেলার সর্বত্র ধুমধামের সঙ্গে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে যাবতীয় সহযোগিতা করছেন।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, ব্যাটালিয়ন আনসার এবং পুলিশের মোবাইল টিম মোতায়েন করা হবে। প্রতিটা মোবাইল টিমে পাঁচজন করে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যসহ একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর কাজ করবেন। পাশাপাশি সব মন্দিরে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে।
আগামী ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হবে এবং ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
জিপি