শনিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।
‘পূর্ব ও পশ্চিম প্রেক্ষাপটে শরণার্থী চ্যালেঞ্জ’-শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জার্মান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
গোলটেবিল বৈঠকে আনেস পোহল বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প আমরা পরিদর্শন করেছি। সেখানে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। রোহিঙ্গারা সবাই তাদের নিজ বাড়িতে ফিরতে চান।
তবে ফেরা এতো সহজ নয় বলেও মনে করেন তারা। রোহিঙ্গাদের ফেরা না পর্যন্ত তাদের আবাসন, নারীর নিরাপত্তা, শিক্ষার সুযোগ, পুষ্টি ইত্যাদি নিশ্চিতে জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, জার্মানিও এখন শরণার্থী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশকেও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কীভাবে সুচারুভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়, তার সুষ্ঠু পথও বের করতে হবে।
তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে জার্মানির পেক্ষাপট আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কেননা দুই দেশের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা এক নয়।
গোলটেবিল বৈঠকে ডয়েচে ভেলের দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাহী তোবায়েজ গ্রোটে বেভেরবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
ডয়েচে ভেলের প্রধান সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এই গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
টিআর/এএ